অনেকগুলো পাঠ্য বিষয় নিয়ে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ। সব পাঠ্য বিষয়ই তাত্ত্বিক, ব্যবহারিক ও সাহায্যকারী পেশা নয়। তবে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের এমন একটা পঠিত বিষয় আছে যেটি তাত্ত্বিক, ব্যবহারিক এবং উন্নত দেশগুলোতে পেশা হিসেবে স্বীকৃত পেয়েছে। বাংলাদেশেও বিষয়টি পেশা হিসেবে স্বীকৃতি পাবার পর্যায়ে রয়েছে। এটি বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে সমস্যা চিহ্নিতকরণ, প্রতিকার, প্রতিরোধ ও উন্নয়নমূলক কাজের সাথে সাথে সচেতনতা সৃষ্টি ও মানব সম্পদ উন্নয়নেও ভূমিকা রাখছে।
বাংলাদেশে ভিক্ষুকের সংখ্যা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। বৃদ্ধ, অসুস্থ, প্রতিবন্ধী ভিক্ষুকের সাথে সাথে সুস্থ-সবল ও অপ্রাপ্ত বয়স্ক শিশুরাও ভিক্ষা করছে। এক এলাকার মানুষ আরেক এলাকায় গিয়ে ভিক্ষা করে। বাংলাদেশে ভিক্ষাবৃত্তি একটি সামাজিক সমস্যায় পরিণত হয়েছে। এই সমস্যা মোকাবেলার জন্য এবং সুস্থ-সবল ভিক্ষুকদের পুর্ণবাসন, সংশোধন, ভিক্ষাবৃত্তি নিষিদ্ধকরণের জন্যে ১৯৪৩ সালে বঙ্গীয় ভবঘুরে আইন প্রবর্তন করা হয়েছিল ।
ক.
খ.
গ.
ঘ.
নিবেদিতা চৌধুরী তিন বছর নার্সিং কলেজে শিক্ষানবিশ হিসেবে হাতে-কলমে শিক্ষা গ্রহণ করে বর্তমানে সিনিয়র নার্স হিসেবে কর্মরত আছেন। রোগীরা তাকে অনেক পছন্দ করে। তাকে বিশ্বাস করে। রোগীদের সেবা করার ক্ষেত্রে তিনি কখনই আবেগতাড়িত হন না। তবে বিশেষ কিছু নীতি ও মূল্যবোধ মেনে চলেন। তিনি এই সেবার মাধ্যমেই পরিবারের ভরণ-পোষণ ও জীবিকা নির্বাহ করেন ।
সৈয়দ মোঃ নাসিম আলী পাক-ভারত উপমহাদেশের মুসলিম প্রধান বিচারপতি ছিলেন। তার মৃত্যুর আগে উইল করে তার সম্পত্তি তিন ভাগ করেন। একভাগ জনকল্যাণমূলক কাজের জন্য, আরেক ভাগ তার বংশধরদের দান করেন এবং বাকি অংশ ধর্মীয় কাজে দান করেন। এই দানকৃত সম্পত্তির আয় দ্বারা দুঃস্থ, এতিম অসহায়দের ভরণ-পোষণ, স্বাস্থ্য, চিকিৎসাসহ আরো অনেক উন্নয়নমূলক কাজ করে থাকে ।
ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপা উপজেলায় “আত্মহত্যার হার অনেক বেশি” বলে প্রচলিত আছে। আত্মহত্যার হার সত্যিই বেশি কিনা জানার জন্য রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক ডঃ জিল্লুর রহমান স্যার কিছু শিক্ষার্থীকে নিয়ে তথ্য সংগ্রহ শুরু করেন। তাদের উদ্দেশ্য ছিল আত্মহত্যাকারীর সংখ্যা, বয়স, লিঙ্গ, শিক্ষা, কারণ, প্রেক্ষাপট, জীবিকা, অর্থনৈতিক ও সামাজিক অবস্থাসহ অন্যান্য বিষয় সম্পর্কে প্রাথমিক তথ্য সংগ্রহ ও যাচাই-বাছাই এর মাধ্যমে প্রতিবেদন তৈরি ও সুপারিশ করা।
শিল্প বিপ্লব মানুষকে যেমন দিয়েছে প্রাচুর্য ও বিলাসিতা ঠিক তেমনি দিয়েছে অসুস্থতা, দুর্ঘটনা, বেকারত্ব ও অক্ষমতাজনিত নির্ভরশীলতা। আধুনিক কল্যাণ রাষ্ট্র সামাজিক আইন প্রণয়নের মাধ্যমে ঐ সমস্ত লোকদের প্রতিরক্ষামূলক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। আবার নাগরিকগণ তাদের অসহায় ও বিপর্যয়মূলক পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্যে নিজেরাও পরিকল্পিতভাবে কর্মসূচির আওতায় আসে।
ঐশী ২০১৪ সালে নতুন ভোটার হয়েছে। এখন সে আগামী নির্বাচনে ভোটাধিকার প্রয়োগে নিজেকে উপযুক্ত বলে মনে করছে। গাতীয় পরিচয়পত্র ব্যবহার করতে গর্ববোধ করে এবং দায়িত্ব-কর্তব্য লিনে অনেক বেশি সচেতনও হয়েছে। ইয়ুথ হাংগার প্রজেক্ট নামে টি এনজিও যুব ছায়া সংসদ গঠন করেছিল। সেই সংসদের খাদ্য ধর্মসংস্থান মন্ত্রী হিসেবে ঐশীর দেওয়া বক্তব্যে ফুটে উঠেছে, স্বপ্ন মানুষের খাদ্য ও কর্মের অধিকার, সুশাসন, জবাবদিহিতা ও লিক শাসন ব্যবস্থার।
বাংলাদেশ সরকারের যুগান্তকারী পদক্ষেপের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে মানবতার বিকাশ, জনমুখী উন্নয়ন ও প্রগতিতে নেতৃত্বদানকারী | মননশীল যুক্তিবাদী দেশ প্রেমিক কর্মকুশল নাগরিক গড়ে তোলা । সেই লক্ষ্যে সরকার শিক্ষাক্রম, পাঠ্যসূচি প্রণয়ন, শিক্ষণ, শিক্ষা পদ্ধতির পরিবর্তনসমূহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। যার ফলে বাংলাদেশ ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ায় সাফল্য অর্জন করেছে।